র্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের পর বুধবার সন্ধ্যায় তৃতীয় দফা কোনো হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল।
উপজেলা সদরের গার্লস স্কুল সংলগ্ন অঞ্জনের বাড়িতে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কেউ দগ্ধ হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অঞ্জন দেব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাড়ির একটি গোয়াল ঘরে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে। এতে গোয়াল ঘরের একটি অংশ পুড়ে গেছে।”
স্থানীয়রাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, “দুর্বৃত্তরা খালি গোয়ালঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছি।”
গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৫টি মন্দির ও ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের চার দিন পর একবার অঞ্জন দেবের বাড়ির উঠানে রাখা পাটকাঠিতে আগুন দেওয়া হয়েছিল।
নাসিরনগরের ঘটনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মধ্যে ১৩ নভেম্বর ভোরে উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ায় ছোট্টু লাল দাসের বাড়ির জাল রাখার ঘরে আগুন দেওয়া হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক অনুসন্ধানে উঠে আসে, ওই হামলার নেপথ্যে ছিল নাসিরনগরের এমপি, প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর দ্বন্দ্ব।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অঞ্জন দেব মন্ত্রী ছায়েদুল হকের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
হামলা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় একটি তদন্ত কমিটি করেছিল পুলিশ প্রশাসন। তাদের প্রতিবেদনে হামলার পেছনের কারণ হিসেবে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দ্বন্দ্বের বিষয়টিও এসেছে বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শওকত হোসেন।